BlogsContent WritingNews

আবহাওয়ার সতর্ক সংকেত (১ – ১১ সংকেত) ,  বাতাসের তীব্রতা  ও গতির ভিত্তিতে ঘূর্ণিঝড়ের শ্রেণি  নিয়ে ধারণা 

আবহাওয়া সতর্ক সংকেত (১ – ১১ সংকেত) ,  বাতাসের তীব্রতা  ও গতির ভিত্তিতে ঘূর্ণিঝড়ের শ্রেণি  নিয়ে ধারণা 

 

 আসসালামু আলাইকুম,  আশা করছি সবাই ভালো আছেন। এটেল পড়ে বুঝতে পারছেন আজকে আমরা কি নিয়ে কথা বলতে যাচ্ছি । আজকে আমরা কথা বলতে চাচ্ছি মূলত আবহাওয়া সংকেত বাতাসের তীব্রতা ও ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে ধারণা নিতে।   চলুন শুরু করা যাক :

আবহাওয়া সতর্ক সংকেত 

 আজকে আপনাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছি।  আমরা অনেক সময় আবহাওয়া দপ্তর থেকে  বিভিন্ন সংকেত সম্পর্কে জেনে থাকি।  যেমন চট্টগ্রামে বল হলো হয়তো নয় নং সংকেত মেনে চলতে  আবার তা কাকে বলা হলো হয়তো 7 নম্বর সংকেত মেনে চলতে ।  আমরা অনেকেই হয়তো এই সংকেত গুলোসম্পর্কে জানি না ।  আজকে আমরা সেই সকল  সংকেত সম্পর্কে জানব । 

জেনে নিই ১ থেকে ১১ আবহাওয়া সতর্কতা সংকেত সম্পর্কে 

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিধি ২০১৫  মোতাবেক  মোট সংকেত বা হুঁশিয়ার  সংকেত রয়েছে । চলুন সংকেতগুলো সম্পর্কে জানা যাক ।

  • ১ নং থেকে ৪ নং সংকেত – দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত 

দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দূরের কোন অঞ্চলে  খারাপ আবহাওয়া সম্বন্ধে হতে পারে । যেমন ধরুন কোন একটি জাহাজ বন্দর আছে সেখানে আবহাওয়া খারাপ না কিন্তু যখন সে বন্দর থেকে  ছেড়ে যাবে  তখন হয়তো দূরবর্তী এলাকায় সে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সম্মুখীন হতে পারে ।  তাই ওই পরিস্থিতিতে 1 নং সংকেত মেনে চলতে বলা হয়। 

১ থেকে ৪ নং সংকেত মূলত নদী বন্দরের জন্য দেওয়া হয়। 

  • ১ নং দূরবর্তী সতর্ক সংকেত 

সমুদ্র বন্দরের ক্ষেত্রে 1 নং ধারা দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেওয়া হয়।

  • ২ নং দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত :

দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দ্বারা মূলত দূরে গভীর সাগরে একটি ঝড় সৃষ্টি হয়েছে এরকম  বুঝায়। সেখানে বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে প্রতি ঘণ্টায় ৬২-৮৮  কিলোমিটার।  তাই এই মুহূর্তে  বন্দর ত্যাগী জাহাজ কে বন্দর ত্যাগ করতে নিষেধ করা হয় । 

  • ৩ নং স্থানীয় সতর্কতা সংকেত :

স্থানীয় সংকেত তারা মূলত এবং বন্দরে ঢাকার জাহাজগুলো খারাপ দুর্যোগ কবলিত হতে পারে  আশঙ্কা রয়েছে এরকম বুঝায়।  তাই তাদেরকে সতর্ক থাকতে বলা হয়।  এবং সেই সময় একটানা গতিবেগ ঘন্টায় ৪০-৫০  কিলোমিটার হতে পারে। 

  • ৪ নং আমিও  হুঁশিয়ারি সংকেত :

4 নং তারাও বন্দর ঘূর্ণিঝড় কবলিত হতে পারে এরকম বুঝায়।  যেখানে বাতাসের গতিবেগ ঘন্টায় ৫১-৬১  কিলোমিটারের মতো হতে পারে।  তবে ঘূর্ণিঝড়ের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেওয়ার মতো তেমন বিপজ্জনক সময় এখনো আসেনি  বুঝাবে।



  • ৫ নং থেকে ৭ নং –  বিপদ সংকেত :

বিপদজনক সংক্ষেপ তারা সামুদ্রিক ঝড়ে কবলিত হতে পারে তার আশপাশ এলাকায় এরকম বোঝায়  যেখানে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ৬২ – ৮৮  কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। তবে বিপদ সংকেত এর ক্ষেত্রে  নং এ নং এর পার্থক্য  রয়েছে। 

 যদি ৫ নং বলা হয় তাহলে  ঝড় টি বন্দরকে বাম দিকে রেখে উপকূল অতিক্রম করবে। 

 যদি ৬ নং বলা হয় তাহলে  ঝড় টি বন্দরকে ডান দিকে রেখে উপকূল অতিক্রম করবে।

যদি ৭ নং পড়া হয় তাহলে ঝড়টি বন্দরের  উপ বা নিকট  দিয়ে উপকূল অতিক্রম করবে।  

  • ৮ নং থেকে ১০ নং – মহাবিপদ সংকেত :  

 প্রচন্ড এবং সর্বোচ্চ তীব্রতর ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়তে পারে  বুঝায়। জ্বরের সময় সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ হতে পারে প্রতি ঘন্টায় ৮৯  কিলোমিটার বেগে বা তারও বেশি।তবে মহাবিপদ সংকেত এর ক্ষেত্রে  নং এ নং এর পার্থক্য  রয়েছে।

  যদি ৮ নং বলা হয় তাহলে  ঝড় টি বন্দরকে বাম দিকে রেখে উপকূল অতিক্রম করবে। 

 যদি ৯ নং  বলা হয়  তাহলে ঝড়টি  বন্দরকে ডান দিকে রেখে  উপকূল অতিক্রম ।

যদি ১০ নং পড়া হয় তাহলে ঝড়টি বন্দরের  উপর বা নিকট দিয়ে উপকূল অতিক্রম করবে। 

১১ নং যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন সংকেত বা যোগাযোগ স্থাপনে ব্যর্থতা :

১১ নং দ্বারা  যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হতে পারে  এরকম বুঝায় ।  স্থানীয় আবহাওয়া কর্মকর্তা  এই এই ধরনের আবহাওয়া পরিস্থিতিকে অত্যন্ত দুর্যোগপূর্ণ বলে মনে করেন । 

বাতাসের তীব্রতা  ও গতির ভিত্তিতে ঘূর্ণিঝড়ের শ্রেণি :

আবার কথা বলব আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে ।  সেটা হচ্ছে বাতাসের তীব্রতা ও গতি ভিত্তিতে ঘূর্ণিঝড়ের শ্রেণী সম্পর্কে। আমরা অনেক সময়  নিম্নচাপ,  গভীর নিম্নচাপ,   ঘূর্ণিঝড়  ইত্যাদি সম্পর্কে শুনে থাকে ।  আসলে এগুলো নির্ধারণ করা হয় মূলত বাতাসের গতি বৃদ্ধির উপর নির্ভর করে।  চলুন জানা যাক :

  • নিম্নচাপ  : যখন বাতাসের গতিবেগ ঘন্টায় ৫০ কিলোমিটার / ৩১ মাইল হয়। 
  • গভীর নিম্নচাপ :  যখন বাতাসের গতিবেগ ঘন্টায় ৫১ – ৬১ কিলোমিটার / ৩২ – ৩৮ মাইল হয়। 
  •  ঘূর্ণিঝড় : যখন  বাতাসের গতিবেগ ঘন্টায় ৬২ – ৮৮ কিলোমিটার / ৩৯ – ৫৪ মাইল হয়। 
  •  প্রবল ঘূর্ণিঝড় :  যখন বাতাসের গতিবেগ ঘন্টায় ৮৯-১ ১৭ কিলামিটার / ৫৫-৭৩ মাইল হয়।
  • হারিকেনের তীব্রতা সম্পূর্ণ প্রবল ঘূর্ণিঝড় :  যখন বাতাসের গতিবেগ ঘন্টায় ১১৮ – ১৭০ কিলোমিটার / ৭৪ – ১০৫ মাইল হয়। 
  • সুপার সাইক্লোন :  যখন বাতাসের গতিবেগ ঘন্টায় ১৭১ এর অধিক  কিলোমিটার/ ১০৫ এর অধিক মাইল হয়। 

এছাড়াও আবহাওয়া বার্তা নিয়ে এখানে একটি নির্দেশনা ছোটখাটো বলতে পারেন দেওয়া আছে সেটা আপনাদের কাজে দিবে ।  বইটিতে বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া আছে যেটা আপনাদের অনেক কাজে আসবে । আশা করছি এই নির্দেশনা গুলো পড়ে নিবেন

আবহাওয়া সর্তকতা নিয়ে বই বা নির্দেশনা

ধন্যবাদ আমাদের সাথে থাকার জন্য ।  এরকম আরো তথ্যবহুল  বিশ্ব সম্পর্কে জানতে আমাদের সাথেই থাকুন। 

 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button