
প্রোগ্রামিংয়ের আর্শ্চয জগৎ – তামিম শাহরিয়ার সুবিন
বতর্মান আর ভবিষ্যৎ সময়ের প্রধান হাতিয়ার হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি । আর এই তথ্য প্রযুক্তি মূলে বা বিশাল একটা অংশ জুড়েই রয়েছে প্রোগ্রামিং । আমরা সকলেই মোটামুটি প্রোগ্রামিং শব্দটির সাথে পরিচিত । কিন্তু তার সম্পর্কে বেশির ভাগ মানুষেরই স্বচ্ছ ধারণা নেই । আবার অনেকেই জানেই না প্রোগ্রামিং জিনিজটাই কি ? তাদের জন্যই একটি পরিষ্কার দিক নির্দেশনা দেয়ার চেষ্টা করেছেন এই বইটিতে ।
প্রোগ্রামিংয়ের আর্শ্চয জগৎ – বইটি কাদের জন্য?
যাদের ছোট থেকেই ইচ্ছা প্রোগ্রামার হওয়া, সিএসই নিয়ে কিছু করা কিন্তু প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা পাচ্ছে না তাদের জন্য বইটা অনেকটাই প্রয়োজনীয় । কেননা বইটিতে একেবারে মূল থেকেই আলোচনা করা হয়েছে। সকলেরই তার কাজ সম্পর্কে একটা বিশাদ ধারণা জানা প্রয়োজন পড়ে। সে ক্ষেত্রে যারা কম্পিউটার ,কম্পিউটার সায়েন্স, সফটওয়্যার সংযুক্ত বিষয় নিয়ে পড়তে চায় তাদের জন্য একেবারে শুরু থেকে শুরু করে ইন্টারভিউ পযর্ন্ত কি করতে হবে তার জন্য দিক- নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
আমাদের অনেকেরই ধারণা যে, সফটওয়্যার বা প্রোগ্রামিং মানেই তা পিসি বা মোবাইল সফটওয়্যারের মধ্যে সীমাবদ্ধ। আসলে কিন্তু তা না । আমরা দৈনন্দিন জীবনে প্রোগ্রামিংটা নানা কাজেই ব্যবহার করছি বা হচ্ছে । রোবট তৈরিতে , চালকবিহীন গাড়িতে, র্স্মাট ওয়াচ-টিভি-ফ্রিজ, কৃত্রিম উপগ্রহের সাথে যোগাযোগ ইত্যাদি এরকম অনেক ক্ষেত্রেই প্রোগ্রামের ব্যবহার রয়েছে।
আবার অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে যে প্রোগ্রামার হতে হলে কি করতে হবে?
প্রোগ্রামিং বিষয়কে আমরা প্রচলিত অর্থে যেভাবে চিন্তা করে , আসলে প্রোগ্রামিং জগৎ টা সেরকম নয়। প্রোগ্রামার হতে গেলে সর্বপ্রথম পর্যাপ্ত পরিমাণ সময় ব্যয় করার মানসিকতা থাকতে হবে। প্রতিদিন কমপক্ষে এক থেকে দুই ঘন্টা ব্যয় করতে হবে ,ধৈর্য থাকতে হবে । আর যেটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সেটা হচ্ছে শেখার আগ্রহটা থাকতে হবে ।এছাড়াও অনেকের , সিএস, নাকি সিএসই ,নাকি সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং কোনটা নিয়ে পড়াশোনা করব এটা নিয়ে চিন্তা পড়ে যায় ? বিষয় বাছাইয়ের সেক্ষেত্রে সবগুলাই বিষয়ে মোটামুটি কাছাকাছি তেমন কোন উল্লেখ্য পার্থক্য নেই ।
প্রথমে কোন ভাষায় প্রোগ্রামিং শিখবো?
প্রথম দিকে অনেকেই কোন ভাষা দিয়ে প্রোগ্রামিং করবে , কোনটা করলে ভালো হবে , সেটা নিয়ে অনেকেই দ্বিদা দ্বন্দে থাকে ।আসলে কোন প্রোগ্রামিং ভাষা শিখব সেটা অনেকটা নির্ভর করবে আপনি কোন পর্যায়ে আছি সেটার উপর । যদি পলিটেকনিক সেক্টরে হয় তার জন্য হবে বেস্ট অপশন হবে পাইথন দিয়ে করা । কেননা ৩য় পর্ব থেকে তাদের পাইথন রয়েছে । আর যদি স্কুল বা কলেজ সেক্টর হয় তাহলে(সি) শেখাটা বেটার অপশন । আর প্রাইমারি দের ক্ষেত্রে স্ক্র্যাচ দিয়ে শিখতে পারা যায় ।
এছাড়া রয়েছে প্রোগ্রামিং শিখার জন্য প্রয়োজনীয় টিপস, সফটওয়্যার শিল্পে ক্যারিয়ার সম্পর্কে আলোচনা, সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রি তে আসার আগে কি কি করতে হবে, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারদের ইন্টারভিউ কিরকম হতে পারে বা কি কি স্কিল থাকা লাগবে , সেরা প্রোগ্রামার হতে করণীয় কি ! ইত্যাদি বিবিধ বিষয় দিয়ে আলোচনা করা হয়েছে । যা একজন স্বপ্নচারী প্রোগ্রামের জন্য জানা খুবই প্রয়োজনীয় ।
বইয়ের উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো হলো –
- একেবারে সহজ সাবলীল ভাষায় লিখা ।
- গ্রোগ্রামিং ক্যারিয়ার নিয়ে মোটামুটি A to Z আলোচনা করা ।
- প্রোগ্রামিং চর্চা জন্য জাজ গুলা উল্লেখ করা ।
- বিভিন্ন প্রয়োজনীয় টিপস ।
- ইন্ডাস্ট্রিতে আসার আগের সর্ম্পকে ধারণা ।
- ইন্টারভিউ সম্পর্কে ধারণা দেয়া ।
- বিভিন্ন স্কিল গ্রো করার ধারণা ।
সর্বোপরি প্রোগ্রামিং আর্শ্চয জগৎ বইটিতে লেখকের সবগুলো দিক-নির্দেশনা খুবই কার্যকর বলে মনে হয়েছে। বই সংগ্রহ করতে ক্লিক করুন ।