BlogsBrand

ওয়ালটনের ইতিহাস , যাত্রা ও অবস্থা  | Walton History, Journey and Status

Table of Contents

ওয়ালটনের ইতিহাস , যাত্রা ও বর্তমার অবস্থা  

টাইটেল পড়েই বুঝতে পারছেন আজকে আমরা কি নিয়ে কথা বলতে চাচ্ছি। হ্যাঁ , আজকে আমরা আমাদের দেশেরই সুনাম ধন্য প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন সম্পর্কে বলবো। 

ওয়ালটনের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস:

 

ওয়ালটন হচ্ছে বাংলাদেশের হাই টেক প্রোডাক্ট উৎপাদনকারী কোম্পানি।আমেরিকার মতো দেশের বাজারে প্রথম বারের মত বাংলাদেশ উৎপাদিত মোবাইল ফোন রপ্তানি করা কোম্পানি এটি। বাংলাদেশ থেকে প্রথম বারের মত মধ্যপ্রাচ্যে, আফ্রিকা, ইউরোপে সুনামের সহিত বাংলাদেশি প্রোডাক্ট রপ্তানি করে এই কোম্পানি।

১৯৭৭ সালে প্রথম যাত্রা শুরু হয় ওয়ালটনের ।এস এম নুরুল আলম রিজভী এর হাত ধরে প্রথম যাত্রা শুরু হয় ওয়ালটনের।কিন্তু ওয়ালটনের প্রধান প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন এস এম নজরুল ইসলাম।

এস এম নুরুল আলম রিজভী

ছবিতে : এস এম নুরুল আলম রিজভী

শুরুর প্রথম দিকে এই কোম্পানিটি শুধু মাত্র টেক্সটাইল, ইলেকট্রনিক্স এবং অটোমোবাইল এর অল্প কিছু পণ্য নিয়ে ব্যবসা আরম্ভ করেছিল।১৯৯৫ সালের দিকে ওয়ালটন ইলেকট্রনিক্স প্রোডাক্ট নিয়ে ব্যবসায় আরম্ভ করে।মূলত এই আরম্ভটাই আজকের ওয়ালটনের এত বড় হওয়ার কারণ হয়ে উঠেছে। সে সময়টায় ওয়ালটন কোম্পানি অন্যান্য দেশের যে যে পণ্য গুলো আমদানি করে বাংলাদেশে বিক্রি করতো সেগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মানুষের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হয়নি। চাহিদা মেটাতে না পারার এই ব্যর্থতা এই কোম্পানিটিকে বেশ ভাবিয়ে তুলেছিল। যার ফলে নিজেরাই একটি কোম্পানি বানিয়ে ইলেকট্রিক পণ্য উৎপাদনের দিকে পা বাড়ায়।

১৯৯৮ সালের দিকে ওয়ালটন কোম্পানি তাদের নিজস্ব ব্র্যান্ডের টেলিভিশন উৎপাদন করে। ২০০০ সালের দিকে ইলেকট্রনিক্স পণ্য উৎপাদন ওয়ালটনের সবচেয়ে বড় ইনকাম মাধ্যম হয়ে দাঁড়ায়।এইভাবে সময়ের সাথে সাথে এই কোম্পানির জনপ্রিয়তা এবং নাম ক্রমশ বাড়তে থাকে। দেশের মধ্যে ওয়ালটন নামটি নতুনভাবে পরিচিতি পেতে শুরু করে এবং এর সাথে তাদের পণ্য উৎপাদন ও বৃদ্ধি পেতে থাকে।

অবশেষে ২০১০ সালের দিকে এসে তারা দেশের বাইরে তাদের ব্যবসা শুরু করে প্রথমবারের মত।২০১৬ সালে রেফ্রিজারেটর মার্কেটে এসে দেশের সমস্ত বড় বড় কোম্পানিকে পিছে ফেলে দেয় ওয়ালটন। শুধুমাত্র রেফ্রিজারেটর এর বাজারে ওয়ালটন প্রায় ৭০ শতাংশেরও বেশি জায়গা এখনও দখল করে রয়েছে।যেটি অন্যান্য কোম্পানির তুলনায় অনেকটা বেশি এবং তারা তাদের প্রোডাক্ট নিয়ে এতটাই কনফিডেন্ট ,যেখানে অন্যান্য কোম্পানী দিতো। ওয়ারেন্টি, সেখানে তারা সরাসরি গ্যারান্টি দিয়ে দিত। আর তাদের এই কনফিডেন্স এর কারণে তারা মার্কেট জুড়ে সেরা।

বিশ্ববিখ্যাত সমস্ত ফ্রিজ কোম্পানিকে পিছে ফেলে দিয়ে দ্রুতই সফলতা পেয়ে যায় এই কোম্পানি।২০১৭ সালে ওয়ালটন নিজেদের কম্প্রেসার প্ল্যান্ট স্থাপন করে এবং এই সময়টায় তারা মোবাইল ম্যানুফ্যাকচারিং প্লান্ট ও স্থাপন করে।

এরপরের বছরগুলো ছিল ওয়ালটনের জন্য শুধুই সফলতার এবং জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাওয়ার বছর। এই সময়গুলোতে ওয়ালটন কোম্পানি ল্যাপটপ, ডেক্সটপ, এয়ার কন্ডিশনার এর মত নামি দামি পণ্য গুলো উৎপাদন করে। বর্তমানে এই কোম্পানিটি দেশের মানুষের চাহিদা মেটানোর সাথে সাথে আরো দেশের বাহিরের ৩০ টিরও বেশি দেশের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হচ্ছে।

ওয়ালটনের বর্তমান সদর দপ্তর ঢাকায় অবস্থিত এবং এই কোম্পানির প্রধান কারখানা গাজীপুরের চন্দ্রা তে অবস্থিত রয়েছে।

 



ওয়ালটনের প্রতিষ্ঠান সমূহ 

ওয়ালটনের ইতিহাস

ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড

ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড  হলো ওয়ালটন কোম্পানি কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত একটি বিভাগ বা প্রতিষ্ঠান।গাজীপুরের চন্দ্রা তে ২০০০-২০০৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে এই প্রতিষ্ঠানটির কাজ শুরু এবং শেষ হয়। ২০২০ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর এর দিকে দেশীয় পুঁজিবাজারে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড তালিকাভুক্ত হয়। এখানে টেলিভিশন ,রেফ্রিজারেটর, অটোমোবাইল, মোটর সাইকেল, এয়ার কন্ডিশনার উৎপাদিত হয় ।

ওয়ালটন মাইক্রো-টেক কর্পোরেশন

ওয়ালটনের এই প্রতিষ্ঠানটি ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড  কোম্পানির পাশেই অবস্থিত।এখানে হোম এপ্লায়েন্স এর বিভিন্ন পণ্য তৈরি করা হয়।

ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড

একইভাবে অন্য সব প্রতিষ্ঠান যেমন, ওয়ালটন মাইক্রো-টেক কর্পোরেশন,ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড  এর পাশেই অবস্থিত এই প্রতিষ্ঠানটি। এখানে মোবাইল, টিভি, ল্যাপটপ, কম্পিউটার তৈরি করা হয় থাকে। এইভাবে তারা তাদের পণ্য উৎপাদন এবং দেশের ভিতরে মানুষের চাহিদা মেটানো সাথে দেশের বাহিরের দেশগুলোতে পণ্য রপ্তানি করতে থাকে।

 এছাড়াও ওয়ালটন অন্যান্য প্রতিষ্ঠান গুলো হলো  :

  • Walton R.B Group of Companies Limited
  • Walton Chemical Industries Limited 
  • Walton Motol Industries Limited 
  • Walton Agro Farm & Industries 
  • Walton Corporations Limited
  • Walton Shipping & Logistics
  • Walton Dream Park International
  • Walton Marcel Enterprise Limited
  • Walton E-plaza
  • Walton Plaza
  • Walton Service Management System
  • Walton Sky route Media Limited

ওয়ালটনের পণ্য সমূহ

ওয়ালটনের পণ্য নিয়ে কিছু সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা 

ওয়ালটন মোবাইল ফোন :

ওয়ালটন মোবাইল এই কোম্পানির অন্যতম সেরা বিক্রিত পণ্য বা প্রোডাক্ট। ওয়ালটন অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলটি বাংলাদেশে প্রচুর বিক্রি হয়েছে এবং হচ্ছে। ধীরে ধীরে এটি বর্তমান তরুণদের  বেশ পছন্দের হয়ে উঠছে।

ওয়ালটন রেফ্রিজারেটর :

  আপনি যদি রেফ্রিজারেটরের বাজারের দিকে লক্ষ্য করেন তবে দেখতে পাবেন ওয়ালটন আপনাকে কম দামে ভালো মানের ফ্রিজ সরবরাহ করে। একটি দেশীয় কোম্পানি হিসাবে ওয়ালটন কম দামে সেরা মানের ফ্রিজ সরবরাহ করে আসছে। এছাড়াও দেশীয় রেফ্রিজারেটর বাজারের প্রায় ৭০-৭৫ ভাগ জুড়ে আছে ওয়ালটন।যেখানে অন্যান্য কোম্পানি দিচ্ছে ওয়ারেন্টি সেখানে ওয়ালটন সম্পূর্ণ কনফিডেন্স এর সাথে দিচ্ছে ভালো মনের গেরান্টি।

দেশের মধ্যে ছাড়াও দেশের বাহিরের বিভিন্ন জায়গায় ওয়ালটনের ফ্রিজ রপ্তানি হচ্ছে।

ওয়ালটন টেলিভিশন :

প্রতিদিনের কর্মব্যস্ততা শেষে আমাদের সকলেরই প্রয়োজন হয় একটু বিশ্রাম এবং সাথে টেলিভিশন। টেলিভিশন একটি বিনোদনের মাধ্যম ও বটে। এক্ষেত্রে অস্পষ্ট ছবি, বাজে কালার, অস্পষ্ট শব্দ, ঝির ঝির সমস্যা সবকিছুকে দূরে রেখে ওয়ালটন নিচে এসেছিল দেশীয় স্মার্ট টেলিভিশন।যেটিতে ভালো শব্দ,সঠিক কালার এর নিশ্চয়তা রয়েছে। ওয়ালটন স্মার্ট এলইডি টিভি আপনাকে নিশ্চিত করে অভিনব প্রযুক্তি, নির্ভরশীল কর্মদক্ষতা এবং অভিনব ডিজাইন। ওয়ালটন মাইক্রো-টেক কর্তৃক তৈরি এই টেলিভিশন তার ব্যবহারকারীদের দেই সম্পূর্ণ কর্মদক্ষতা এবং নিরাপদ এলইডি টেলিভিশনের নিশ্চয়তা। বিভিন্ন কম থেকে বেশি বাজেটের মধ্যে পেয়ে যাচ্ছেন বিশ্বাসযোগ্য ভালো ও নিরাপদ দেশীয় টিভি।বর্তমানে দেশের প্রায় অনেকের ঘরে ঘরে রয়েছে ওয়ালটনের এলইডি টিভি।



ওয়ালটনের মোটরসাইকেল:

ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ কর্তৃক তৈরি হয় ওয়ালটন মোটর বাইক।মোটরবাইকের দিক দিয়েও বর্তমানে সবার নজর কাড়ছে ওয়ালটন। এ কোম্পানিটি মোটরবাইক তৈরি করতে সাধারণত জাপানি প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকে। অর্থাৎ ওয়ালটন যে মোটর বাইক গুলো উৎপাদন করে সেগুলো জাপানি প্রযুক্তির দ্বারা উৎপন্ন হয়ে থাকে।

কম্পিউটার:

২০১৮ সালের দিকে প্রথমবারের মতো ওয়ালটন কোম্পানির কম্পিউটার ও মনিটর বানানো তৈরি করে। এর পর থেকেই মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়েছে এই কোম্পানির কম্পিউটার ও মনিটর সহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ।

ওয়ালটন ওয়াশিং মেশিন:

গাজীপুরের চন্দ্রা তে নিজেদের কারখানাতে বিশ্বমানের ওয়াশিং মেশিন উৎপাদন করে বাজারজাত করছে ওয়ালটন। সে কারণেই ওয়ালটনের একটি শক্তিশালী আরেন্ডি (গবেষণা এবং উন্নয়ন) বিভাগ এবং একটি অত্যাধুনিক পরীক্ষা ল্যাব রয়েছে।  ফলে, ওয়ালটন এই যন্ত্রটির উচ্চমানের  বিষয়ে ১০০% নিশ্চিত। আজকের এই ব্যস্ত সময়ে প্রতিটি গৃহের জন্য খুব প্রয়োজন এই যন্ত্রটি। ওয়ালটন ওয়াশিং মেশিন গুলো বিশ্বমানের পণ্য তৈরি এবং সাশ্রয়ী মূল্যের দামে সরবরাহ করার কারণ খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ওয়ালটনের ওয়াশিং মেশিনের চাহিদা দেশের বাজারে প্রতিনিয়ত বাড়ছে এবং বেড়ে চলেছে রপ্তানি। ওয়ালটন ভারত, নেপাল, ইয়েমেন এবং পূর্ব তিমুর সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ওয়াশিং মেশিন রপ্তানি করছে বর্তমানে।

এয়ার কন্ডিশনার (এসি) :

১ যুগের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় এসি উৎপাদন কোম্পানি হিসেবে ওয়ালটন সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে মানসম্মত এসি তৈরি করে আসছে। অত্যন্ত মেধাবী, উচ্চ প্রশিক্ষিত ও দক্ষ প্রকৌশলীদের নিয়ে গড়ে উঠেছে দেশের সর্ববৃহৎ এসি গবেষণা উন্নয়ন ও উৎপাদন বিভাগ। যারা প্রতিনিয়ত গবেষণা করার মাধ্যমে তৈরি করছে নিরাপদ এবং মানসম্মত এসি।বিভিন্ন দামের মধ্যে সবাই সহজে কিনতে পারছে এসি।

কম্প্রেসার:

উৎপাদন পর্যায়ে মান নিয়ন্ত্রণে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করে ওয়ালটন সর্বাধুনিক ইউরোপীয় প্রযুক্তি এবং দক্ষতার সাথে দেশে বিশ্বমানের কম্প্রেসার এবং প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ উৎপাদন করছে। যার কারণে, বিশ্ব বাজারে কম্প্রেসার সহ ওয়ালটনের প্রযুক্তি পণ্যগুলির প্রতি আগ্রহ বাড়ছে সবার। সর্বাধিক গুণগত মানসম্পন্ন এবং দীর্ঘস্থায়ী কম্প্রেসার বানানোর দিকে পরিকল্পনা রয়েছে কোম্পানিটির।ওয়ালটন ইতিমধ্যে কম্প্রেসার অন্যান্য দেশে রপ্তানি শুরু করেছে।

ওয়ালটন ড্রাই আয়রন:

ওয়ালটন কোম্পানি অনেক ধরনের আয়রন তৈরি করে থাকে। বর্তমানে প্রায় অনেকের ঘরেই ওয়ালটনের বানানো আয়রন ব্যাবহৃত হচ্ছে।কম দামী বেশি দামী সকল ধরনের ব্র্যান্ডের আয়রন পাওয়া যায় এখানে।

অন্যান্য ইলেকট্রিক প্রোডাক্ট:

অন্যান্য ইলেকট্রিক পণ্য গুলোর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন এলইডি বাল্ব, টিউব, সুইচ, সকেট, হোল্ডার, রেগুলেটর, তার ইত্যাদি।দৈনন্দিন ব্যবহৃত এই পণ্যগুলো উৎপাদনের দিক থেকেও সফল ওয়ালটন।দেশের ছোট বড় অসংখ্য ইলেকট্রনিক্স দোকানে বিক্রি করা হয় ওয়ালটনের এসব পণ্য।

কম দামের মধ্যে ভালো মানের পণ্য দিয়ে থাকে ওয়ালটন।

এছাড়াও আরো নানা ধরনের পন্য নিয়েই ওয়ালটন কাজ করে । E-plaza, plaza ইত্যাদি তাদের প্রতিষ্ঠান ও ডিলারের কাছে তাদের পন্য সবই পাবেন। 

ওয়ালটনের বৈশ্বিক কর্মকাণ্ড  

ওয়ালটন দেশীয় গন্ডি পেরিয়ে বৈশ্বিক কর্মকান্ডেও তাদরে কাযকর্ম শুরু করেছে। 

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে আসছে ওয়ালটন কোম্পানি

ওয়ালটন গ্রুপটি দেশের অন্যতম সেরা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। এবার তারা পাঁচ লাখ মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করে যুক্তরাষ্ট্রে ওয়ালটন কর্পোরেশন নামে একটি নতুন সংস্থা খুলবে।ওয়ালটন কর্পোরেশন উত্তর আমেরিকাতে আমদানি, রপ্তানি এবং ব্যবসায়িক উন্নয়নের পরিষেবা সরবরাহ করবে।ওয়ালটন দেশের প্রথম ইলেকট্রনিক কোম্পানি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে তার কার্যক্রম প্রসারিত করতে যাচ্ছে বলে এই কোম্পানির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তাদের ভারত, নেপাল, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় শাখা খোলার পরিকল্পনা রয়েছে। এই কোম্পানিটিতে মোটরসাইকেল এবং রেফ্রিজারেটর ব্যবসা রয়েছে তবে এটি রেফ্রিজারেটর শিল্পে যতটা সফল হতে পেরেছে, মোটরসাইকেলের ব্যবসায় এতটা পারেনি।  তারা এখন বিশ্বের মানচিত্রে নিজেকে সমৃদ্ধ করার চেষ্টা করছে কারণ তারা স্থানীয় রেফ্রিজারেটর, টেলিভিশন এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ বিপণনে শেয়ার বিনিয়োগ করতে সক্ষম হয়েছে।

ওয়ালটন কোম্পানি কয়েক বছর আগে উন্নত বিশ্ব বাজারে পণ্য রপ্তানি করতে শুরু করে। ইতিমধ্যে তারা ৪০টি দেশে তাদের পণ্যের বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ করেছে।

যেটি তাদের বৃহত্তর সমৃদ্ধি অর্জনের স্মরণ করিয়ে দেয়।কোম্পানিটির কর্মকর্তাদের মতে তারা বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় সংস্থাগুলো থেকে সেরা কয়েকজন কর্মচারীকে নিয়োগ দিয়েছে যাতে তারা ওয়ালটনকে “ভিশন ২০৩০” অবধি বিশ্বের শীর্ষ পাঁচটি ব্র্যান্ডের অন্যতম হিসেবে চালিয়ে যেতে পারে। (সূত্র: দৈনিক ইনকিলাব)

এছাড়াও আরো দেখুন –

ওয়ালটনের বৈশ্বিক কর্মকান্ড

ওয়ালটনের পুরষ্কার সমূহ 

ওয়ালটনের রয়েছে অসংখ্য আর্ন্তজাতিক , লোকাল ও বিশেষ পুরস্কার সহ আরো নানা ধরণের পুরস্কার অর্জন করেছে ওয়ালটন । নিচে তার একাংশ দেখানো হলো :

আর্ন্তজাতিক পুরস্কারের একাংশ : 

আরো দেখতে এখানে ক্লিক করুন

 

Intermational awards of walton

জাতীয় পুরস্কারের একাংশ 

আরো দেখতে এখানে ক্লিক করুন

Local awards of walton

বিশেষ পুরস্কার এবং শুভেচ্ছা স্মারকের একাংশ 

আরো দেখতে এখানে ক্লিক করুন

special awards and souvenir of walton

Message from Chairman

 

Walton has attained prominence as a leader in the field of electrical, electronics, automobiles and other appliances brand with highest quality standards and recognized safety performance. Walton bases itself in the heart of Bangladesh upon the production of hi-tech and high value added electronics products focusing environment friendly operation and waste management system. We have a long tradition of serving our valued customers to their complete satisfaction through efficient management, excellent workmanship and after sales service, which we continue to maintain with our untiring efforts. Our HR policies and practices are among the best in the industry, valuing the essentials in attracting, inducting/engaging and retaining the high quality professionals. We believe in employee satisfaction, upgradation of their skill levels and for this purpose, the group invests a lot in training & development, incentive schemes, bonus, etc.

In an era of advanced technologies and new techniques, we continuously strive for innovation and enhanced efficiency. We are offering a wide range of advanced technology spanning products from Refrigerators, Freezers, Air Conditioners, LED/ LCD televisions, Motorcycles, Smart Phones to Other Appliances.

Walton is the preferred choice of millions of customer across the world because of its reliability and commitment to quality and price. We are operating many countries in the world and in the process of setting up new operation in markets such as USA, Europe, Latin America and Africa where we see emerging opportunities.

I believe, we will emerge on a stronger footing, through a series of management initiatives targeted at strengthening our core operations including investment in compressor factory, home appliances and mobile phones.

 



ওয়ালটনের প্রোডাক্ট কেন কিনবেন?

ছোট থেকেই আমরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটা শুনে থাকি যে দেশীয় পণ্য বলতেই হয়তো তেমন ভালো পারফরমেন্স হবে না।আমরা এটা বিশ্বাস করি যে দেশের বাহিরের পণ্যগুলো অনেক ভালো। অবিশ্বাস্য হলেও এটা সত্যি যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমরা ব্যবহার না করেই বিভিন্ন লোকেদের থেকে শুনে বিশ্বাস করি যে দেশী পণ্য বলতেই নিশ্চয়ই ভালো না। দেশীয় পণ্য গুলো অন্যান্য দেশ থেকে পার্ট কিনে তৈরি হয়ে থাকে।দেখুন আমাদের ভাবনা যদি আমরা না বদলাতে পারি তাহলে কিন্তু দেশের সাথে সাথে দেশীয় প্রোডাক্ট ও এগোবে না।

আমরা যদি দেশে থেকে দেশী প্রোডাক্ট না কিনি, বিদেশি পণ্য ক্রয় করার পিছনে পড়ে থাকি তাহলে আমাদের দেশের কোম্পানিগুলোর কি হবে? ব্যাবহারকারীর দ্বারা কোনো কোম্পানি বড় হতে পারে।সুতরাং আমরা যদি দেশীয় পণ্যের প্রতি বিশ্বাস রেখে দেশীয় পণ্য কিনি তাহলে অবশ্যই একদিন দেখা যাবে, একটি পণ্য তৈরি করতে যে পার্ট বাহিরে থেকে কিনে আনা হয়, সেগুলো আমাদের নিজ দেশে তৈরি হবে। অন্যদিকে একই প্রেক্ষিতে বলা যায় যে ওয়ালটন পণ্য এইবা কেনো কিনবেন।অন্যান্য সব প্রোডাক্ট গুলোর মতই ওয়ালটন বেশ ভালো একটি প্রোডাক্ট উৎপাদন কোম্পানি। ভালো পণ্য উৎপাদনের কারণেই এই কোম্পানিটি বর্তমানে দেশে ছাড়াও বিভিন্ন দেশে নিজেদের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

যদি পণ্য খারাপ হয়তো তাহলে কিন্তু দেশের বাহিরে সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হতো না এই কোম্পানিটি। সুতরাং মোবাইল,ল্যাপটপ, কম্পিউটার ইত্যাদি বিভিন্ন পণ্য কেনার জন্য যারা ভেবে থাকেন যে ওয়ালটন দেশীয় কোম্পানি বলে ভালো পণ্য হবে না তাহলে আপনি ভুল। এজন্য আমাদের উচিত দেশের তৈরি সকল কিছুকে সম্মানের সহিত ব্যবহার করা।

ওয়ালটন ল্যাপটপ ও কম্পিউটার স্টুডেন্টরা পাবে ‘শিক্ষাবৃত্তি’

এখন থেকে শিক্ষার্থীরা ওয়ালটনের ল্যাপটপ, কম্পিউটার, ট্যাবলেট পিসি, ডেস্কটপ বা অল-ইন-ওয়ান কম্পিউটার কিনলে শিক্ষাবৃত্তির সুবিধা পাবেন।ওয়ালটন একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে যে শিক্ষার্থীরা এই পণ্যগুলির জন্য ২ হাজার থেকে শুরু করে এক লাখ টাকা পর্যন্ত বৃত্তি পেতে পারে।এই ছাড় দিয়ে ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের ল্যাপটপ বিভাগ শিক্ষার্থীদের আগামী তিন মাসে কমপক্ষে 1 কোটি টাকা দেবে।

ওয়ালটনের এই উদ্যোগটি তাদের সামনের দিকে এগোতে অনেক বড় ভূমিকা রাখবে।

আমি কিভাবে ওয়ালটন কোম্পানিতে চাকরি পাব?

যদি কেউ কখনও ওয়ালটনে কোন চাকরির সন্ধান করতে চান তবে অবশ্যই তার রেফারেল প্রয়োজন হবে। রেফারেলের দ্বারা চাকরি হওয়ার সুযোগ অনেকাংশে বেড়ে যায়।কারণ এটি অনেক বড় একটি কোম্পানির যার কারণে এতে প্রায় নিয়োগ চলতে থাকে। যেহেতু এটি অনেক বড় একটা কোম্পানিতে তো এই কোম্পানি লক্ষ লক্ষ লোকদের দ্বারা কাজ করানো।ওয়ালটন কোম্পানিতে চাকরি পাওয়ার জন্য আপনাকে প্রথমে একটি সিভি জমা দিতে হবে। পরবর্তীতে আপনাকে তারা কলের মাধ্যমে কিংবা যোগাযোগ করে দেখে কিছু প্রশ্ন করতে পারে।প্রশ্নগুলো হতে পারে তাদের কোম্পানির সম্পর্কিত কিংবা অন্যান্য কিছু।অন্যান্য চাকরির মতো এখানেও ইন্টারভিউ এর মাধ্যমে একজন লোককে নির্ধারণ করে চাকরি দেওয়া হয়ে থাকে।

বি:দ্র‌ঃ প্রথমেই বলেছি যেহেতু ওয়ালটন বাংলাদেশের সেরা একটি কোম্পানি, সে তো এখানে যদি আপনি চাকরি পেতে চান তাহলে আপনার অবশ্যই এটা রেফারেলের প্রয়োজন হতে পারে। কারণ রেফারেল এর ফলে আপনি 100 ভাগ নিশ্চিত হয়ে চাকরি পেয়ে যেতে পারেন খুব সহজেই। সাথে আরও একটি কথা, আপনাকে যে রেফার করছেন তার নাম সহ তার বিস্তারিত ডিটেলস সিভিতে আপনাকে বলে দিতে হবে। পরবর্তীতে সে কোম্পানি ইন্টারভিউ এর সময় আপনার ব্যবহারকারী কেউ দেখে কিছু জিজ্ঞেস করতে পারে।

মূলত এভাবেই আপনি পেয়ে যেতে পারেন ওয়ালটনের মত কোম্পানি তে চাকরি।

তবে যদি আপনি চাচ্ছেন, চাকরি না করে ডিলারশিপ করেই ইনকাম করবেন তাহলেও রয়েছে আপনার জন্য সুবিধা।

ওয়ালটন পণ্যের ডিলারশিপ এর মাধ্যমে আয় করবেন কিভাবে?

বন্ধুরা আমরা মূলত ওয়ালটনের ইলেকট্রিক পণ্য গুলোর ব্যবসা করে আয় করা নিয়ে বলবো।যেহেতু এটি একটু ইলেকট্রনিক ব্যবসায় সুতরাং এখানে ক্ষতি হওয়ার তেমন কোনো সুযোগ নেই।কারণ ইলেকট্রিক এর পণ্য নষ্ট হয় না।তাইতো সবাই বলে যে ইলেকট্রিক এর ব্যবসা লাভজনক।এই দিক থেকে বিবেচনা করলে আপনি যদি ওয়ালটন কোম্পানি থেকে ডিলারশিপ এর মাধ্যমে আয় করতে চান সেক্ষেত্রেও আপনার লাভ ছাড়া ক্ষতি হবে না।ওয়ালটন থেকে ডিলারশিপ করে আয় করার জন্য প্রথমত হয়তো আপনাকে কিছু কাগজপত্র কিংবা জরুরি কোনো ডকুমেন্ট (কোম্পানি যা চায়) দিতে হতে পারে।

পরবর্তীতে আপনি ওয়ালটনের যেকোনো পণ্য সেল করার মাধ্যমে আয় করতে পারবেন।আপনাকে মূলত যেকোনো একটি পণ্যের বিভাগ বেছে নিতে হবে। পরবর্তীতে পণ্যের অর্ডার নিতে হবে।

যত বেশি অর্ডার আপনি পাবেন তত বেশি ইনকাম আপনার হতে থাকবে।কারণ এখানে প্রত্যেক অর্ডার এর বিপরীতে আপনাকে তারা কিছু কমিশন দিয়ে দিবে।

তাহলে ভাবুন আপনি যদি বিভিন্ন শপ থেকে বিভিন্ন অর্ডার পেয়ে যান ,আপনার ইনকাম কিন্তু প্রচুর হবে।

এক্ষেত্রে আপনার কোনো ক্ষতি হবে না।তাই ক্ষতি নিয়ে চিন্তা করার কোনো প্রকার কারণ নেই।শুধুমাত্র আপনি মন স্থির করে ফেলুন এবং যুক্ত হয়ে যান।

প্রথম কিছুদিন হয়তো তারা আপনাকে বিস্তারিত শিখিয়ে দিবে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে।পরবর্তীতে আপনি নিজেই খুব সহজে এই কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন।

আমাদের শেষ কথা

প্রিয় বন্ধুরা, আজকের আর্টিকেলে আমরা বাংলাদেশের অন্যতম হাই-টেক কোম্পানি ওয়ালটন কে নিয়ে বিস্তারিত জেনে গিয়েছি। ওয়ালটনের প্রতিষ্ঠাতা,শুরু থেকে শেষ,এক কথায় আমরা ওয়ালটনের সফলতার গল্প এবং প্রোডাক্ট নিয়ে অনেকটা ধারণা পেলাম।

আজকের দিনে এসে বাংলাদেশের সফল কোম্পানি হিসেবে দাড়িয়েছে এটি।

দেশের সাথে সাথে অন্য দেশে মানুষের প্রয়োজন মিটিয়ে বেশ সুনাম অর্জন করছে ওয়ালটন। ওয়ালটনের এই উৎপাদনের কারণেই বাংলাদেশ ওইসব উৎপাদনকারী দেশগুলোর মধ্যে একটি যেসব দেশ গুলো অনেক ভালো ভালো পণ্য উৎপাদিত করে।

২০৩০ সালের মধ্যে ওয়ালটন অনেক বড় কিছু করতে চলেছে। একই সাথে তারা তাদের সকল  ধারাবাহিকতা কে এগিয়ে রেখেছে। যেহেতু দেশীও এই কোম্পানিটি সময়ের সাথে সাথে অনেক ভালো কিছু করছে সুতরাং আমাদের ও উচিত তাদের পাশে থাকে।

আমাদের অনুপ্রেরণায় সামনের দিকে আরো বড় বড় উৎপাদন করতে সক্ষম হবেন তারা।

তাই আমাদের উচিত দেশীয় পণ্য ক্রয় করে ব্যবহার করা, কারণ আমরা যদি দেশীয় পণ্য না কিনি তাহলে দেশীয় পণ্য বানাতে দেশীয় কোম্পানিগুলো উৎসাহ পাবে না।অন্যদিকে আমাদের মধ্যে দিয়ে যদি দেশীয় পণ্য কেনার বিষয়টি শুরু হয় তাহলে তারা সামনের দিকে বড় কিছু করবে, যেমনটা বর্তমানে করছে।এছাড়াও ওয়ালটনের পণ্য কিনে মিলিওনিয়ার হওয়ার সুযোগ থাকছে, ল্যাপটপ কিনলে থাকছে শিক্ষাবৃত্তি।

 

এই ছিল ওয়ালটনের ইতিহাস নিয়ে আজকের আর্টিকেল।আর্টিকেল ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিন ধন্যবাদ সবাইকে।

 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button